December 22, 2024, 2:39 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ঢাকার রমনা বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি শফিকুর রহমান গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনামে নামে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি করে আসছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তিনি বলেন, শফিকুর নাম পাল্টে হন আব্দুল করিম। নরসিংদীর বিভিন্ন মাদ্রাসায় এ নামে শিক্ষকতা করেন। ছদ্মনামেই ওই এলাকার একটি মসজিদে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে ইমামতি করতেন।
মুফতি শফিকুর রহমান (৬১) ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাতেও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।
কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২১ বছর আগে রমনার বটমূলে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন শফিকুর রহমান। এ ছাড়া ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালে গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। ২০০১ সালে রমনার বটমূলে হামলার পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে থেকে সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন। ২০০৮ সাল থেকে নরসিংদীর একটি মাদ্রাসায় অবস্থান করে আত্মগোপনে চলে যান। চাকরি নেন একটি মসজিদে।
শফিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, আত্মগোপনে থেকে ইমামতির আড়ালে ধর্মের নামে ‘বিভ্রান্তিমূলক অপব্যাখ্যা প্রচার করতেন’ এই জঙ্গি নেতা। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে।
তিনি ঢাকার চকবাজারের একটি মাদ্রাসা থেকে ১৯৮৩ সালে হেদায়া পাস করেন। তারপর ১৯৮৬ সালে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানের করাচিতে ইউসুফ বিন নুরী মাদ্রাসায় ফতোয়া বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৮৯ সালে তিনি আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। ওই বছরের শেষের দিকে তিনি ফিরে আসেন।
১৯৯০ সালে দেশে হরকাতুল জিহাদ (হুজি-বি) সংগঠন প্রতিষ্ঠার সময় তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি সংগঠনের আমির ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি সংগঠনের সুরা সদস্য ছিলেন।
Leave a Reply